স্প্যানিশ লা লিগা অনুশীলনীর অনুমতি পেল বার্সা-রিয়াল
১ min read
livesportsnewsbd.com
একদিকে করোনা, অন্যদিকে স্প্যানিশ লা লিগা। স্পেন সরকারের পক্ষ থেকে স্প্যানিশ লা লিগা মাঠে ফেরাতে চার ধাপের প্রস্তুতি পর্ব বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্নস্থানে লকডাউন কার্যকর থাকলেও লা লিগা তাদের অনুমতি এরই মধ্যে পেয়ে গেছে।
কিন্তু অধিকাংশ অঞ্চল এখনও লকডাউনের মধ্যেই থাকবে এবং মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় লকডাউন শিথিল করা হবে না। আর লকডাউনের মধ্যেই রিয়াল ও বার্সেলোনার মতো দলগুলোকে ২য় পর্যায়ে অনুশীলনী করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে স্প্যানিশ লিগ কর্তৃপক্ষ সবগুলো ক্লাবকে জানিয়ে দিয়েছে, লকডাউন কোন বাঁধা হয়ে দাঁড়াবে না। লকডাউনের মধ্যেই ক্লাবগুলোর সব খেলোয়াড় ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে অনুশীলন করতে পারবে।এর আগে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করার অনুমতি পেয়েছিল খেলোয়ারবৃন্দ।
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে সকল এলাকায় কড়াকড়িভাবে লকডাউন দেওয়া আছে। ঐসব এলাকায় বা অঞ্চলে একটি অনুশীলন সেশনে ১০ জন এর বেশি খেলোয়াড় অংশ নিতে পারবে না এবং যে এলাকায় বা অঞ্চলে লকডাউন কড়াকড়ি না সেখানে একটি অনুশীলন সেশনে ১৪ জন খেলোয়াড় অংশ নিতে পারবে। অন্যদিকে খেলোয়ার, কোচ, স্টাফদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিয়ম মেনে গ্রুপ মিটিং করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এই অনুমতি সবগুলো দলকে দেওয়া হয়নি। অল্প কিছু দলকে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রেফারিদেরকেও স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে তাদের নিজের কাজগুলো করার জন্য।
প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথমধাপ হিসেবে ফুটবল দলের শীর্ষ ২০টি ক্লাবকে তাদের সকল খেলোয়ার, কোচ, স্টাফদেরকে করোনা টেস্ট করাতে বলা হয়েছে এবং ৪মে থেকে ব্যক্তিগতভাবে খেলোয়ারদেরকে (প্রতিটি ক্লাবের) অনুশীলনীর সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। অথ্যাৎ, সম্মিলিতভাবে অনুশীলন করতে পারবে না খেলোয়াররা।
২য় ধাপে পুরো দল একসাথে অনুশীলনীর সুযোগ করে দেওয়া হবে। তবে, এটি হতে হবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে। এবং লীগ শুরু হওয়ার ২ সপ্তাহ আগে এসুযোগগুলো পাবে।
ইতিমধ্যে, রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা ব্যক্তিগত অনুশীলনে ফিরেছেন। লিওনেল মেসি-লুইস সুয়ারেজরা ৮ মে থেকে অনুশীলনীতে ফিরেছেন। এডেন হ্যাজার্ড-করিম বেনজেমা অনুশীলন শুরু করেছেন ১১ মে থেকে। এছাড়া, লিগের ২০টি দলের সব ফুটবলার ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে অনুশীলনে নামার সুযোগ পাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, করোনায় আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে স্পেন হলো ২য় দেশ। করোনার ভয়াল থাবায় স্পেন সরকার বাধ্য হয় সে দেশে কারফিউ জারি করতে। কিন্তু বর্তমানে স্পেনে আক্রান্ত ও মৃতের হার কমে আসার কারনে, ফুটবল খেলার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা আস্তে আস্তে তুলে নেওয়া হচ্ছে।