বুন্দেসলিগা শুরুর সাথে সাথে চিন্তিত ফুটবলাররা
১ min read
livesportsnewsbd.com
করোনার ছোবলে এ পর্যন্ত অনেক ফুটবলার আক্রান্ত হয়েছেন। গত কিছু দিন আগে কিশোর এক ফুটবলারের মৃত্য হয়েছে নিজ বাড়িতে প্র্যাকটিস করার সময়। আতঙ্ক যেন থেকেই যাচ্ছে। তার উপর বুন্দেসলিগা শুরু হয়েছে ১৬ই মে।
শুরুটা ভালই হয়েছে। কালকের ম্যাচে রিভারসাইড ডার্বিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দারুন সূচনা করেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। শালকেকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
বুন্দেসলিগা লীগ শুরু হচ্ছে তা দেখে বসে নেই স্পেন ও ইতালি। তারাও আগেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছে জুন এর মাঝামাঝি সময়ে তাদের লীগের খেলাগুলো আবার শুরু করবে। অন্য দিকে যুক্তরাজ্যও তাদের ফুটবল শুরু করার পক্ষে। যদিও করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার পার হয়ে গিয়েছে।
এর উপর ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ খেলা শুরু হতে যাচ্ছে এ খবর পাওয়ার পর থেকে ফুটবলারদের ঘুম যেন হারাম হয়ে গিয়েছে। লীগ শুরু হবে এই সিদ্ধান্তটি বেশি দিনের নয়। কিন্তু এর আগেই ওয়াটফোর্ডের ট্রয় ডিনি, বেন ফস্টারের মতো ফুটবলাররা আগেই তাঁদের দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন।
কিন্তু এই দুচিন্তার দলে যোগ দিলেন চেলসির উইলিয়ান।অন্যদিকে আরেক ব্রাজিলিয়াল খেলোয়ারও জানিয়েছেন তার নিজের দুচিন্তার কথা। সব মিলিয়ে কেউই মানসিকভাবে প্রস্তুত নন খেলায় ফেরার ব্যাপারে।
ব্রাজিলিয়ান এ খেলোয়ার বলেন, তিনি মনে করেন বেশিরভাগ খেলোয়ার ফেরার ব্যাপারে আগ্রহী নন। এক কথোপকথনে উইলিয়ান ইভেনিং স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন, “সত্যি কথা বলতে কি, আমি যা দেখেছি, অধিকাংশ খেলোয়ারই ফেরার ব্যাপারে অস্বস্তিতে আছেন। কিন্তু আমরা খেলায় ফিরে আসতে চাই। খেলাটা আমাদের জীবনের সাথে মিশে আছে। আমরা সকলেই খেলাকে অনেক মিস করি। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে পৃথিবীর অবস্থা এখন ভাল না। আমাদের সকলকেই ব্যাপারটা নিরাপদ করতে হবে, একটি নিরাপদ অবস্থার তৈরি করতে হবে। এই বিষয়টির উপর নজর দিতে হবে। কারন, আমাদের সকলের স্বাস্থ্য আগে। মাঠে ফেরার ব্যাপারটা যতক্ষন না নিরাপদ করা যাচ্ছে ততক্ষণ খেলোয়ারবৃন্দরা এ ব্যাপারে আগ্রহী দেখাবে না।
জার্মানি লীগের দিকে দেখলে দেখা যাচ্ছে- তারা অনেক নিয়মকানুন তৈরি করে খেলা শুরু করেছে।নিয়মগুলোর মধ্যে মাঠে কেউ থুথু ফেলতে পারবে না। দুই দল এক সাথে মাঠে প্রবেশ করতে পারবে না। তাদেরকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। গোল দেওয়ার পর অন্য কারোও সাথে গোল উদযাপন করা যাবে না। জয়ী হওয়ার পর উল্লাস করা যাবে না। করলেও সামজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কিন্তু খেলার সময় কি দেখা গেল, একে অন্যকে ট্যাকল করছে, কিক, ফ্রি কিক বা কর্ণার করার সময় সব খেলোয়ার ক্লোজ হয়ে যাচ্ছে এবং একে অপরকে ধাক্কা দিচ্ছে। হাফ টাইম এর পর দেখা গেল দুই দলই এক সাথে একই স্থান দিয়ে প্রবেশ করতে। এর ফলে কি হলো, সমস্ত কিছুই হাস্যরসে পরিপূর্ন হয়ে গেল।
কিন্তু এতো কিছুর পরও আমরা আশার আলোই দেখছি কারন আমরা চাচ্ছি খেলাটা শুরু হোক। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ শুরুর ব্যাপারে আমরা আশাবাদী এবং এই সমস্যাগুলোকে আমরা দূর করার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে দলের সবাই কথা অব্যাহৃত রেখেছি। মিটিংও হচ্ছে থেমে থেমে।
ল্যাম্পার্ড (কোচ) উনি কিছু তথ্য দিয়েছেন এবং বলেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ কি চাচ্ছে এই মুহুত্বে। কিন্তু এতো কিছুর পরও আমরা জানি না সামনে কি হতে যাচ্ছে।
প্রিমিয়ার লীগ খুব শীঘ্রই আরেকটি মিটিং করবে। সে মিটিং থেকে হয়তো আমরা কিছু জানতে পারবো।
ওয়াটফোর্ড তার আশংকার কথা সরাসরিই বলে দিয়েছেন- যদি কোন খেলোয়ার অসুস্থ হয়ে পরে তাহলে কী হবে? নিশ্চই মানুষ তাদের চোখ বন্ধ করে রাখেনি। আমরা চাই খেলা শুরুর হোক। কিন্তু অনিরাপদ ভাবে নয়। নিরাপদভাবে আমরা খেলতে চাচ্ছি। আমাদের সাবধানতা অবলম্বন করেই আগাতে হবে। সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে খেলা হবে হঠকারিতা। এখানে স্বাস্থ্য নিয়ে কথা হচ্ছে। তাই এটাকে গুরুত্ব দিয়েই সব করতে হবে।