করোনায় অনলাইনে দাবা খেলার পরিকল্পনা

livesportsnewsbd.com
অন্যান্য খেলার মতো দাবা খেলাটিও বন্ধ আছে। যদিও দাবা খেলাটি অন্যান্য খেলার মতো বেশি সংখ্যক খেলোয়ারের দরকার হয় না। এরপরও করোনার কথা বিবেচনা করে বর্তমানে বন্ধ আছে। খেলাটিকে পুনরায় কিভাবে শুরু করা যায় এ নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন।
তবে, যারা দাবা পেশাটিতে জড়িত আছেন তাদের পরিকল্পনা হলো যেহেতু মাত্র দুইজনের মধ্যে এই খেলাটি হয়ে থাকে তাই এই খেলাটি যদি অনলাইনের মাধ্যমে করা যায় তাহলে হয়তো দাবা খেলাটি আবার জীবন ফিরে পাবে।
অনেকে প্রশ্ন রেখেছেন অনলাইনে খেলার ফলে তা তার মান ধরে রাখতে পারবে কি না এ নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে।
তবে, খেলোয়াড়ারদের মধ্যে খেলাটির চর্চা অব্যাহত রাখতে এই মুহুত্বে অনলাইন দাবা ছাড়া আর কোন বিকল্প রাস্তা নেই।
এদিকে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন, অনলাইন দাবার আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে। আগামী জুন মাসে না হলে জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে এই আসর।
দাবা ফেডারেশন সেক্রেটারি সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম জানান, সিনিয়র বা জুনিয়রদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এই টুর্নামেন্টটি।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন; আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন বা ফিদের কাছে টাকা চেয়েছে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করার জন্য । তারা ৫হাজার ডলার দিতে সম্মতি জানিয়েছেন। আর এই অর্থ পেলেই টুর্নামেন্টটির আয়োজন করা যাবে।
যেহেতু টুর্নামেন্টটি অনলাইনের মাধ্যমে হবে সেহেতু ল্যাপটপ/পিসি, ওয়েব ক্যামেরা সহ আনুসাঙ্গিক জিনিসপত্র লাগবে।
অন্যদিকে অনেকে মনে করছেন, এ জাতিয় টুর্নামেন্টটে ম্যাচ পাতানোর মতো ঘটনা ঘটার আশংকা থাকে। তাই ফিদের টাকা বড় একটি বিষয় এই টুর্নামেন্টের জন্য।
২৮ মে থেকে শুরু হবে এশিয়ান জুনিয়র দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ। বাংলাদেশের তিনজন করে ছেলে ও মেয়ে অংশ নিচ্ছেন এই অনলাইন দাবায়।
তারা হলেন,
নওশিন আনজুম, ওয়ালিজা আহমেদ, ফাহাদ রহমান, স্বর্নাভো চৌধুরী, তাহসিন তাজওয়ার জিয়া ও ওয়ারসিয়া খুশবু।
বাছাইপর্ব শেষে প্রতি জোন থেকে তিনজন করে চূড়ান্ত পর্বে কোয়ালিফাই করবে। জুনের শুরুতেই হবে চূড়ান্ত পর্ব।